আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,রাজনীতি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেও কোন কিছু করতে পারব না।তবে এদেশের রাজনীতি দেখলে তো মনের ভেতরে অনেক ভাবনায় আসে।
রাজনীতি বিষয়টি আমার কেন জানি একদম ভাল লাগে না।হয়তো ছোট থেকে আমাদের দেশে যে রাজনীতি দেখে আসছি এটা তার বড় কারন।রাজনীতি সম্মন্ধে আমার জ্ঞান শূন্য বলতে পারেন।কিন্তু খোলা দৃষ্টিতে তার ভাল মন্দ টুকু তো বুঝি।সংবিধানে কি আছে আমার সেটাও অজানা আমি কোন দিন সংবিধান পড়িনি।তবে মানুষের মূখে, বলতে পারেন এদেশের নেতাদের মূখে শুনে যতটুকু জেনেছি, রাজনীতি মানে হচ্ছে জনগনের সেবা করা।দেশের জনগন তাদের ভোটের মাধ্যমে এক জন প্রতিনীধি বানায় যার কাজ জনগনের সেবা করে যাওয়া।অথচ এদেশের রাজনীতিতে হচ্ছে ঠিক উল্টোটা।রাজনীতি থেকে আমরা সাধারন জনগন দূর্ভোগই বেশি পেয়ে থাকি।আর আমাদের দেশে সবচেয়ে যে বিষয়টা খারাপ তা হল প্রতিহিংসার রাজনীতি।
যারা রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হননি তারা বুঝবেন না এই প্রতিহিংসা কত দূরে যেতে পারে।তবে আশে পাশে চোঁখ রাখলে ঠিকই বুঝতে পারবেন প্রতিহিংসার রাজনীতি কাকে বলে।আজও পর্যন্ত প্রতিহিংসার রাজনীতিতে পড়ে জীবন যাচ্ছে অহরহ মানুষের।নিজের জন্য সব সময় দোয়া করবেন যেন প্রতিহিংসার রাজনীতিতে আপনাকে পড়তে না হয়।
সরকারি লোকজনও প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বাইরে নয়। আমারা দেখেছি সাধারন জনগনের নামে গায়েবী মামলা এইটাই তার বড় উদাহরন।এইরকম মামলা থেকে মৃত ব্যক্তিও নিস্তার পাচ্ছেন না।আবার যারা প্রবাসে আছেন দীর্ঘদিন ধরে তাদের নামেও মামলা হচ্ছে।এই সব মামলায় লাভ হয় পুলিশের।যাদের নামে মামলা হয় তাদের কে ছাড়াতে তার পরিবার হাজার হাজার টাকা খরচ করে।আমরা জানি অনেক নিরীহ মানুষের নামে বিনা কারনে মামলা হয়েছে যার কারন প্রতিহিংসার রাজনীতি।
ক্ষমতা চিরদিন কারও থাকে না,প্রমাণিত ।ক্ষমতায় থাকা কালিন এই কথা ক্ষমতাসীন দল একদম ভুলে যান।দেশের জনগনের জন্য সত্যি যদি কাজ করতে চান তবে সব দলকেই প্রতিহিংসার রাজনীতি বাদ দিয়ে জনগনের জন্য কাজ করে যেতে হবে।ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় প্রতিটি দলই এমন কাজ করুন যেন ক্ষমতা না থাকলেও আপনাকে প্রতিহিংসার রাজনীতির কবলে না পড়তে হয়।
রাজনীতি যদি সত্যি জনগনের কল্যানের জন্য হয় তবে প্রতিহিংসার রাজনীতি আমরা কোনো দলের কাছ থেকেই আশা করি না।